কানাডায় উচ্চশিক্ষা

Print Friendly and PDF

পড়ার বিষয়
এখানে বিজ্ঞান, আর্ট, বিজনেস যে কোনো বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া যায়। তবে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়গুলো হলো- কম্পিউটার অ্যান্ড আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ইতিহাস, কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং, মেডিসিন, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূগোল, ফুড সায়েন্স, ইতিহাস ইত্যাদি।

শিক্ষাব্যবস্থা
কানাডার শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের থেকে কিছুটা ভিন্ন। এখানে বিভিন্ন কলেজের অধীনে এক বছরের যে কোনো সার্টিফিকেট কোর্স করা যায়। তাছাড়া যে কোনো বিষয়ে ডিপ্লোমা করতে ১-২ বছর, অনার্স ৩-৪ বছর এবং মাস্টার্স করতে প্রায় ২ বছর সময় লাগে। এছাড়া থিসিসের উপর নির্ভর করে পিএইচডি করতে ৪-৭ বছর লাগে। আবার গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিছু স্পেশাল প্রোগ্রাম অফার করে।

ভাষা ও যোগ্যতা
কানাডায় ইংরেজি ও ফরাসি দুই মাধ্যমেই পড়াশোনা করা যায়। তবে ইংরেজি ভাষা বেশি প্রচলিত। ভর্তির শুরুতেই ভাষার ওপর দক্ষতা যাচাই করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন পরীক্ষা দেয়া লাগে। যেমন- অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় TOEFL এর নাম্বার দেখে। এটি ১২০ নম্বরের একটি পরীক্ষা। যাতে নূন্যতম ৭৯ পেতে হয়। তবে ১০০’র বেশি নম্বর থাকা ভালো। এছাড়া বিজনেসের শিক্ষার্থীদের GMAT টেস্ট দেয়া লাগে। বাংলাদেশে ইটিএস সেন্টারে যোগাযোগ করে তাদের অধীনে এসব পরীক্ষা দিতে হয়। তার আগে অনলাইনে ইটিএস-এ রেজিস্ট্রেশন করে একাউন্ট খুলতে হয়। বিস্তারিত নিচের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন-

http://www.mba.com/the-gmat.aspx
আবেদনের সময়
কানাডার অ্যাকাডেমিক বছর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে মে মাসে শেষ হয়। বছরে দু’টি সেমিস্টার থাকে। সেপ্টেম্বর অথবা জানুয়ারি সেমিস্টারে ভর্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আট মাস আগে শুরু করা ভালো।

পড়াশুনার খরচ
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় ভিত্তিক টিউশন ফি বিভিন্ন হলেও গড়ে যে কোনো বিষয়ে অনার্স করতে বছর প্রতি ৮ থেকে ২০ হাজার ডলার এবং মাস্টার্স করতে বছর প্রতি ৭ থেকে ১৫ হাজার ডলার লাগে। উল্লেখ্য, কানাডায় আইন, মেডিসিন ও এমবিএ পড়তে সাধারণত উচ্চ টিউশন ফি দিতে হয়।

পার্টটাইম জব
যারা সেখানে থিসিস করতে যান, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফান্ডের ব্যবস্থা থাকলে পার্টটাইম জবের প্রয়োজন পড়ে না। কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বা ক্যাম্পাসের বাইরে দু’ভাবেই পার্টটাইম জব করা যায়। ক্যাম্পাসের বাইরে জব করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করা যায়। বিস্তারিত নিচের ওয়াবসাইটে দেখতে পারেন-

থাকার খরচ
বিদেশে থাকার খরচ নিজস্ব লাইফ স্টাইলের উপর নির্ভর করে। তবে থাকা, খাওয়া, বই, বিনোদন, স্বাস্থ্য, রাষ্ট্রীয় ট্যাক্স, বিল ও যাবতীয় খরচ বাবদ মাসিক কমপক্ষে ৯শ’ ডলার লাগতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকলে খরচ অনেকটাই কম পড়ে। এছাড়া সেখানে স্থানীয় পরিবারের সাথেও থাকা যায়। এতে মাসে খরচ পড়বে ৪শ’ থেকে ৮শ’ বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন-

স্কলারশিপ
এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাকাডেমিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করে থাকে। বিস্তারিত দেখতে পারেন-

এছাড়া, কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়েও কানাডায় যাওয়া যায়। উল্লেখ্য, প্রতিবছর আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে তথ্য পেতে ভিজিট করতে পারেন-
আবেদন, ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং
ভাষার ওপর দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা শেষে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অফিসে বা সরাসরি আপনার কাক্সিক্ষত বিষয়ের কোনো শিক্ষককের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সেখান থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরীক্ষার ফলাফলসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে সেখান থেকে আপনাকে আহ্বান জানালে, কানাডা হাই-কমিশনে যোগাযোগ করে ইন্টারভিউ দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। কানাডিয়ান হাই কমিশনের ঠিকানা-

High Commission of Canada
United Nations Road
Baridhara, Dhaka-1212
Bangladesh
Telephone: +880 2 988 7091 to 988 7097
Fax: +880 2 882 3043 & +880 2 882 6585
Email: dhaka@international.gc.ca
ভিসার জন্য-  http://www.vfs-canada.com.bd/
সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ

যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফর্ম নেয়ার আগে কাক্সিক্ষত বিষয় অথবা রিসার্চের ক্ষেত্রে ফান্ডের বিষয়টি বিবেচনা করে বাছাই করা ভালো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন। নিচে কিছু বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেয়া হলো-


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by AbsCreation