শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ছবি বানাও উৎসবে এসো

Print Friendly and PDF

www.naboprottoy.blogspot.comতানজিল রিমন:
আগামী বছরের ১৯ থেকে ২৫ জানুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ৬ষ্ঠ বারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করছে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি।

উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি থাকেছে শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা। ১৮ বছর বয়সের নিচে যে কোনো শিশু এ প্রতিযোগিতায় চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবে। প্রদর্শনের জন্য শিশুতোষ ছবি জমা দিতে পারবেন বড়রাও।

ছবিগুলো জমা দিতে হবে ডিভিডি ফরম্যাটে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি, ২০/এ সেন্ট্রাল রোড (দোতলা), ঢাকা-এই ঠিকানায় চলচ্চিত্রের কপি পাঠাতে হবে।
আরও তথ্য জানতে ও আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে ভিজিট করো www.cfs-bangladesh.com

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা কেমন আছে বিদেশে ?

Print Friendly and PDF
মুহম্মদ মাছুম বিল্লাহ: উন্নত বিশ্বের উন্নত জীবন, পরিপাটি রাস্তাঘাট, নিরাপদ ও নিশ্চিত সামাজিক অবস্থা বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আর তাই অজানার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ওপারে পাড়ি জমাচ্ছে। গ্রেট ব্রিটেন, সাইপ্রাস, ইটালি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, অস্ট্রিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা যাচ্ছে। আসল উদ্দেশ্য যে শুধু পড়াশুনা তা নয়; জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়া, দেশের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়া ইত্যাদি কারণে তারা ঐসব দেশে পাড়ি জমায়। আর ঐসব ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পাঠানোর নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে দেশে। দেশের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারি) শিক্ষার্থীদের এক ধরনের টোপ দিয়েই ভর্তি করান যে, ক্রেডিট ট্রান্সফার করে শিক্ষার্থীরা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। তারা ছাত্রছাত্রীর পালস বুঝে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। ইন্টারনেটের যখন খুব একটা প্রচলন আমাদের দেশে শুরু হয়নি, তখন বিদেশে ছাত্রছাত্রী পাঠানোর এজেন্সিগুলোর দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ছাত্রছাত্রীর বিদেশে চলে যেত। এখন ইন্টারনেটের সুবিধা থাকায় তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির খোঁজখবর নিয়ে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছে আর বিদেশে চলে যাচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেটে সব সময়ই খুব ভালো চিত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা হয়। বিদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ধরনের সমস্যা আছে যেগুলো তারা ইন্টারনেটে দেয় না, আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা ঐসব বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ ভর্তি হয়ে প্রচুর সমস্যায় পড়ে। গ্রেট ব্রিটেনসহ বেশ কিছু দেশের উপার্জনের একটি পথ হচ্ছে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে দেওয়া। কোন প্রতিষ্ঠানের খারাপ বা দুর্বল দিকগুলো কখনও ইন্টারনেটে দেওয়া হয় না বিধায় বিদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রকৃত অবস্থা তারা বুঝতে পারে না। অনেকে গিয়ে তাই হাজার সমস্যার মুখোমুখি হয় ।
ব্রিটেনে টিআইইআর-৪ ভিসা পদ্ধতির অপব্যবহার করে প্রচুর ছাত্রছাত্রী ব্রিটেনে চলে যায়। ২০০৯ সালে এটি চালু হয়। এসব ছাত্রছাত্রীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পাওয়ার কথা, আসলে তা পায় না। হালে যারা স্টুডেন্ট ভিসা পাচ্ছে, বিশেষত ডিগ্রি লেভেলের নিচে, তারা মাত্র ১০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি পায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই ডিগ্রি লেভেলে নিচের ভিসায় ব্রিটেনে যাচ্ছে, কাজ পাচ্ছে না। নতুন সেমিস্টারে ভর্তি হতে দুই হাজার পাঁচশত পাউন্ড জমা দিতে হয়। একটু ভালো কলেজ হলে তিন বা চার বা তারও বেশি ফি জমা দিতে হয়। অনেক ছাত্রছাত্রীই এত টাকা জমা করতে পারে না বিধায় কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায়। ওখানে কাজ পেতে হলে যে ভাষাগত দক্ষতা থাকা দরকার, তা নেই অনেকেরই। ফলে হোটেল, রেস্টুরেন্ট কিংবা অন্যত্র কাজ পায় না সহজে। সেসব স্টুডেন্ট ব্রিটেনে গিয়েছে, তাদের মধ্যে দশ শতাংশ ওখানকার পড়াশোনার উপযুক্ত। তারপরেও তারা যাচ্ছে। কোর্সের সাথে সামলাতে পারছে না। কোন প্রতিষ্ঠানে অবৈধ শ্রমিক খুঁজে পেলে সর্বোচ্চ দশ হাজার পাউন্ড জরিমানা দিতে হয় ঐ প্রতিষ্ঠানকে অতএব জেনেশুনে কোন প্রতিষ্ঠান এই রিস্ক নিতে রাজি হয় না, ফলে ভুয়া ছাত্ররা কিংবা ইংরেজিতে যারা কমিউনিকেট করতে পারে না, তারা কাজ পায় না ।
২০০৯ সালে ইউকে পয়েন্ট বেইজড সিস্টেমের (টিয়ার-৪) আওতায় মোট এক হাজার ৯৮৭টি কলেজের লাইসেন্স বাতিল করেছে ব্রিটেন সরকার। এর মধ্যে ২০০ কলেজের মালিক বাংলাদেশী বংশদ্ভোত এবং পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটে ছিল। ইউকে বোর্ডার ফোর্স গত বছরের মধ্যে জানুয়ারিতে বাংলাদেশি মালিকানায় ৬৮টি কলেজের স্পন্সর লাইসেন্স বাতিল করেছে। মালিকরা এ নিয়ে শঙ্কিত (১৫ মার্চ, কালের কন্ঠ, ফারুক যোশী)। অনেক ছাত্রছাত্রী অবৈধ পথে ফ্রান্স, ইতালি,
জার্মানিতে পাড়ি জমাচ্ছে। অবৈধ পথে উন্নত বিশ্বে ঢুকতে গিয়ে অনেকের সলিল সমাধি ঘটেছে। তারপরেও থেমে নেই বিদেশে শিক্ষার্থীর যাওয়ার স্রোত।
জাপানে ভুয়া ছাত্রদের বলা হয ”উছো গাখছাই’। উছো গাখছাইদের খোঁজে জাপানি গোয়েন্দা পুলিশেরা বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে তল্লাশি চালায়। সনাক্ত করে এদের পরে দেশে পাঠিয়ে দেয়। জাপানি পুলিশ যেহেতু একটু ভদ্র, তাই তারা ভুয়া ছাত্রছাত্রীদের প্রথমে দেশে চলে যেতে অনুরোধ করে, না গেলে অ্যারেস্ট করে।
আমাদের দেশ থেকে যেসব ছাত্র বিভিন্ন দেশে যায় তারা স্বভাবতই দেশের স্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়ে। অনেক পরিবারের ছেলেমেয়ে অনেক আদরে মানুষ হয়েছে, গোসল করার পরে কাপড়টিও নিজে ধোয় নি। এসব ছেলে-মেয়েরা বিদেশে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কাজ করে, গভীররাতে বাসায় ফিরে আবার রান্না করে। দেশে থেকে যদি এরা এর অর্ধেক পরিশ্রমও করত তা হলে দেশের চেহেরা অনেকটাই পাল্টে যেত। আমার জানামতে অনেক ছাত্র আছে যাদের ইতোমধ্যে ঢাকায় বাড়িঘর আছে, ব্যবসা আছে, তারা লন্ডনে গিয়েছে পড়তে। মাঝে মাঝে ফোন করে বলে, স্যার ফলের দোকানে কাজ করছি। অথচ এরা ঢাকায় থাকতে নিজে ফল কখনও কিনেও খায় নি, বাসার লোকজন যা কিনত, তাই খেত। লন্ডন নামের জায়গটি তাদের আকর্ষণ করে বলে সেখানে যায়। আমার এক সহকর্মীর একমাত্র ছেলে সাইপ্রাসে গিয়েছিল পড়তে, বছরখানেক পড়ে অজানা এক কারণে লাশ হয়ে দেশে ফিরছে। আজও কেউ জানতে পারে নি আসলে তার কী হয়েছিল।
আমাদের ছোট এই দেশ অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভার যেন আর সইতে পারছে না। দেশও আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না উঠতি বয়সের বিদেশগামী এইসব যুবকদের দেশে রাখতে। একদিকে অবশ্য দেশের জন্য ভালো কারণ চাকুরির বাজারের ওপর চাপ কমছে। দ্বিতীয়ত, তারা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্র পাঠাচ্ছে, কমবেশি যাই হোক। অতএব এসব ছাত্রছাত্রীর ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক সুনির্দিষ্ট ও সঠিক কিছু পদক্ষেপ এবং নীতিমালা তৈরি করা দরকার। শুধু এজেন্সিগুলোর ওপর নির্ভরশীল না হওয়া উচিত। তবে রাষ্ট্র কোন ব্যবস্থা করতে গেলেই সেখানে দুর্নীতি আর অপদস্থতা এসে হাজির হয়, এ ব্যাপারটি গভীরভাবে দেখতে হবে সরকারকে। সর্বোপরি, আমাদের দেশের মিশনগুলোর উচিত দেশের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া। কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ছে তার খোঁজখবর নেওয়া, ঐসব প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলা এবং দেশকে সময় সময় আপটেড রাখা যাতে পরবর্তী সময়ে যারা যাচ্ছে তারা যাতে অন্ধকারে ঝাঁপ না দেয়। পার্টটাইম কাজের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সরকারগুলোর সাথেও কথা বলা উচিত। আমাদের বিদেশি মিশনগুলোর মনে রাখা উচিত, তারা দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বিদেশে মিশনে চাকরি করছেন, আর বিদেশে যারা কাজ করছেন বা পড়াশুনা করছেন তারা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছে। বিদেশে শিক্ষা এবং কাজের বাজার আমাদের বাড়াতেই হবে, দেশের স্বার্থে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
লেখক: প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচী, 
ইমেইল: mmbillah2000@yahoo.com

নরওয়েতে উচ্চশিক্ষা

Print Friendly and PDF

Nabo Prottoyনোবেলের শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় নরওয়ে থেকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশটি ইউরোপ মহাদেশের স্ক্যান্ডেনেভিয়ার অন্যতম দেশ। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ডিগ্রি জগৎজোড়া। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা প্রদানে নরওয়ের তালিকা মোটামুটি প্রথম দিকের। এখানে শিক্ষার্থীদের যেমন পড়াশোনায় টিউশন ফি নেই আবার পার্টটাইম কাজের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই বিদেশে উচ্চশিক্ষার তালিকায় অনেকের কাছেই নরওয়ে অন্যতম। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও ইচ্ছে করলে নিতে পারেন নরওয়ের ডিগ্রি।


শিক্ষাব্যবস্থা
নরওয়ের পড়াশোনা মোটামুটি আমাদের দেশের মতোই। উচ্চশিক্ষার স্তর বিন্যাসে ব্যাচেলর মাস্টার্স পিএইচডি তথা সব ডিগ্রিই রয়েছে। এখানে ব্যাচেলর কোর্স বা ডিগ্রির মেয়াদ তিন-চার বছর। মাস্টার্স এক-দুই বছর এবং পিএইচডি তিন বছরের। এগুলোর পাশাপাশি এখানে রয়েছে কিছু নন-ডিগ্রি প্রোগ্রাম। এর মেয়াদ সাধারণত ১৫ দিন হতে এক বছর পর্যন্ত।

পড়াশোনার ভাষা
নরওয়ের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নরওয়েজিয়ান ভাষায় শিক্ষা দেয়া হয়। এ জন্য যারা নরওয়ে যেতে চান তাদের নরওয়েজিয়ান ভাষা শিক্ষা করে যেতে হয়। তবে ইংরেজি ভাষায় আইইএলটিএসএ ৬+পেলেও হয়।

পড়ার বিষয়
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বা বিজ্ঞানের বিষয় থাকলেও মোটামুটি সব বিষয়েই পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে নরওয়েতে। অন্যতম কয়েকটি বিষয় হলো মেডিসিন, বায়োলজি, ফিজিক্স, ডেন্টিস্ট্রি, আর্টস, অ্যাডুকেশন, আইন, থিওলজি, সোস্যাল সায়েন্স, বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, নার্সিং, কম্পিউটার সায়েন্স, কমিউনিকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি।

পড়াশোনা ও থাকা খাওয়ার খরচ
পড়াশোনার জন্য নরওয়েতে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না। তবে প্রথম দিকে রেজিস্ট্রেশন ও অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ কিছু টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া থাকা খাওয়া বাবদ অর্থ খরচ করতে হয়। এখানে থাকা-খাওয়া, বই, চিকিৎসা যাতায়াত ও অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচসহ একজন শিক্ষার্থীর ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

পার্টটাইম জব
প্রাকৃতিকভাবে নরওয়ে কিছুটা সমস্যাগ্রস্ত। নদী, পাহাড়, হিমবাহে ভরা দেশ, এখানে শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জবের ব্যবস্থা আছে। তবে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে নরওয়ের আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল, ফলে এখানে কাজ করা কিছুটা কষ্টসাধ্য।

ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং
নরওয়ের পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবতীয় তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করে চিঠি বা ই-মেইল করুন। তাদের তথ্যের আলোকে কাগজপত্র পাঠিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করুন। এখানে টঈঅঝ তথা ইউনিভার্সিটিস অ্যান্ড কলেজেস অ্যাডমিশন সার্ভিস ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পাদন করে। এরপর ভর্তি হয়ে মনোয়নপত্র দেখিয়ে নরওয়ে দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করুন।

NORAD-স্কলারশিপ
Nowegian Agency for Development Co-operation (NORAD) প্রায় সব বিষয়ে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীকে দুই বছরের থাকা-খাওয়ার খরচসহ একটি রিটার্ন প্লেস টিকিট দেয়া হয়। প্রত্যেক বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হয়। ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারেন।
NORAD
Post, BOx-7800, N-5020
Berger, Norway
E-mail : siu@siu.no
website : www.siu.no

প্রধান কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়
- University of Tromso
web : www.ub.ultono
- Berger University College
web : www.hib.no
- Oslo National College of Arts
web : www.khio.no
- Ostfold University College
web : www.hiof.no
সৌজন্যে: ক্যরিয়ার ইন্টেলিজেন্স

কানাডায় উচ্চশিক্ষা

Print Friendly and PDF

পড়ার বিষয়
এখানে বিজ্ঞান, আর্ট, বিজনেস যে কোনো বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া যায়। তবে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়গুলো হলো- কম্পিউটার অ্যান্ড আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ইতিহাস, কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং, মেডিসিন, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূগোল, ফুড সায়েন্স, ইতিহাস ইত্যাদি।

শিক্ষাব্যবস্থা
কানাডার শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের থেকে কিছুটা ভিন্ন। এখানে বিভিন্ন কলেজের অধীনে এক বছরের যে কোনো সার্টিফিকেট কোর্স করা যায়। তাছাড়া যে কোনো বিষয়ে ডিপ্লোমা করতে ১-২ বছর, অনার্স ৩-৪ বছর এবং মাস্টার্স করতে প্রায় ২ বছর সময় লাগে। এছাড়া থিসিসের উপর নির্ভর করে পিএইচডি করতে ৪-৭ বছর লাগে। আবার গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিছু স্পেশাল প্রোগ্রাম অফার করে।

ভাষা ও যোগ্যতা
কানাডায় ইংরেজি ও ফরাসি দুই মাধ্যমেই পড়াশোনা করা যায়। তবে ইংরেজি ভাষা বেশি প্রচলিত। ভর্তির শুরুতেই ভাষার ওপর দক্ষতা যাচাই করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন পরীক্ষা দেয়া লাগে। যেমন- অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় TOEFL এর নাম্বার দেখে। এটি ১২০ নম্বরের একটি পরীক্ষা। যাতে নূন্যতম ৭৯ পেতে হয়। তবে ১০০’র বেশি নম্বর থাকা ভালো। এছাড়া বিজনেসের শিক্ষার্থীদের GMAT টেস্ট দেয়া লাগে। বাংলাদেশে ইটিএস সেন্টারে যোগাযোগ করে তাদের অধীনে এসব পরীক্ষা দিতে হয়। তার আগে অনলাইনে ইটিএস-এ রেজিস্ট্রেশন করে একাউন্ট খুলতে হয়। বিস্তারিত নিচের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন-

http://www.mba.com/the-gmat.aspx
আবেদনের সময়
কানাডার অ্যাকাডেমিক বছর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে মে মাসে শেষ হয়। বছরে দু’টি সেমিস্টার থাকে। সেপ্টেম্বর অথবা জানুয়ারি সেমিস্টারে ভর্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আট মাস আগে শুরু করা ভালো।

পড়াশুনার খরচ
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় ভিত্তিক টিউশন ফি বিভিন্ন হলেও গড়ে যে কোনো বিষয়ে অনার্স করতে বছর প্রতি ৮ থেকে ২০ হাজার ডলার এবং মাস্টার্স করতে বছর প্রতি ৭ থেকে ১৫ হাজার ডলার লাগে। উল্লেখ্য, কানাডায় আইন, মেডিসিন ও এমবিএ পড়তে সাধারণত উচ্চ টিউশন ফি দিতে হয়।

পার্টটাইম জব
যারা সেখানে থিসিস করতে যান, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফান্ডের ব্যবস্থা থাকলে পার্টটাইম জবের প্রয়োজন পড়ে না। কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বা ক্যাম্পাসের বাইরে দু’ভাবেই পার্টটাইম জব করা যায়। ক্যাম্পাসের বাইরে জব করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করা যায়। বিস্তারিত নিচের ওয়াবসাইটে দেখতে পারেন-

থাকার খরচ
বিদেশে থাকার খরচ নিজস্ব লাইফ স্টাইলের উপর নির্ভর করে। তবে থাকা, খাওয়া, বই, বিনোদন, স্বাস্থ্য, রাষ্ট্রীয় ট্যাক্স, বিল ও যাবতীয় খরচ বাবদ মাসিক কমপক্ষে ৯শ’ ডলার লাগতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকলে খরচ অনেকটাই কম পড়ে। এছাড়া সেখানে স্থানীয় পরিবারের সাথেও থাকা যায়। এতে মাসে খরচ পড়বে ৪শ’ থেকে ৮শ’ বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন-

স্কলারশিপ
এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাকাডেমিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করে থাকে। বিস্তারিত দেখতে পারেন-

এছাড়া, কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়েও কানাডায় যাওয়া যায়। উল্লেখ্য, প্রতিবছর আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে তথ্য পেতে ভিজিট করতে পারেন-
আবেদন, ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং
ভাষার ওপর দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা শেষে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অফিসে বা সরাসরি আপনার কাক্সিক্ষত বিষয়ের কোনো শিক্ষককের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সেখান থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরীক্ষার ফলাফলসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে সেখান থেকে আপনাকে আহ্বান জানালে, কানাডা হাই-কমিশনে যোগাযোগ করে ইন্টারভিউ দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। কানাডিয়ান হাই কমিশনের ঠিকানা-

High Commission of Canada
United Nations Road
Baridhara, Dhaka-1212
Bangladesh
Telephone: +880 2 988 7091 to 988 7097
Fax: +880 2 882 3043 & +880 2 882 6585
Email: dhaka@international.gc.ca
ভিসার জন্য-  http://www.vfs-canada.com.bd/
সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ

যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফর্ম নেয়ার আগে কাক্সিক্ষত বিষয় অথবা রিসার্চের ক্ষেত্রে ফান্ডের বিষয়টি বিবেচনা করে বাছাই করা ভালো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন। নিচে কিছু বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেয়া হলো-


যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষা: আবেদন প্রক্রিয়ার কিছু তথ্য

Print Friendly and PDF
ছবিটি আমার সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের alma mater নামের ভাস্কর্য, আমার তোলা, উইকিতে দেয়া
ছবিটি আমার সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের
'আলমা মেটার' নামের ভাস্কর্য, আমার তোলা।
ড. রাগিব হাসান: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যাই হোক না কেনো, একটা দিক থেকে বিশ্বে প্রথম সারিতে, তা হলো এখানকার উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা। মার্কিন গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা (অর্থাৎ পিএইচডি বা মাস্টার্স) বেশ সমৃদ্ধ, এবং শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট খাটতে, পড়তে, লিখতে, ও উপস্থাপন করতে হয়। অন্যান্য অনেক দেশে যেমন কোর্সওয়ার্ক ছাড়াই সরাসরি ৩ বছরে পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে দেয়া হয়, এখানে তা নয়, বরং শুরুতে ২ থেকে ৩ বছরে নানা উচ্চতর কোর্স করার পরে বাকি ৩ বছর গবেষণা করলে তবেই পিএইচডি ডিগ্রি মেলে। তাই মার্কিন উচ্চতর শিক্ষা সারাবিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ কাঙ্ক্ষিত।
এদেশের উচ্চতর পর্যায়ে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই বিদেশী, অন্তত প্রকৌশল ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রে। আমার সাবেক ভুট্টাক্ষেত বিশ্ববিদ্যালয় ৪০০ গ্র্যাজুয়েট ছাত্রের মধ্যে সম্ভবত ৩৫০ এর বেশি ছিলো বিদেশী। এদের মধ্যে চীনাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়। জনসংখ্যার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বরং অনেক কমই আসে এদেশে উচ্চতর পর্যায়ে।
শিক্ষাখাতে মার্কিন সরকার খরচও করে বিপুল পরিমাণ। উদাহরণ দেই, আমার সাবেক ভুট্টাক্ষেত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ পিএইচডি পর্যায়ের ছাত্রদের মধ্যে এমন কাউকে দেখিনি, যে পূর্ণ ফান্ডিং পায়নি। সবাইই হয় গবেষনা সহকারী, বা শিক্ষা সহকারী হিসেবে ফান্ড পায়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হারটা একটু কম,কিন্তু তার পরেও অধিকাংশই ফান্ড পেয়ে থাকে।

ভর্তি প্রক্রিয়া
এবার দেখা যাক, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়াটা কীরকম।

আবেদন
ভর্তির মৌসুম শুরু হয় সাধারণত নভেম্বর থেকে, আবেদন নেয়া হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।
অধিকাংশ জায়গাতেই যা যা লাগে তা হলো
- স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (একটা রচনা)
- ২ বা ৩টি রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র
- টোফেল স্কোর
- (অনেক ক্ষেত্রেই) জিআরই স্কোর
- (কোনো কোনো ক্ষেত্রে) সাবজেক্ট জিআরই স্কোর

স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (আমি কী হনুরে, কেনো এখানে আসবো রে, ইত্যাদি)
স্টেটমেন্ট অফ পারপাস হলো মোটামুটি ২ পৃষ্ঠার একটি রচনা, যাতে লিখতে হয় নিজের সম্পর্কে, কেনো এই বিষয়ে আগ্রহ, কেনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগ্রহ, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। ভর্তির ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ। এটা খুব সাবধানে লেখা দরকার, বেশ সময় নিয়ে হলেও। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অন্যদের থেকে বা নেট থেকে জোগাড় করা রচনা নিজের নামে চালিয়ে দেয়, যা ধরতে পারা যায় খুব সহজেই।

“আমার দেখা সেরা ছাত্র”
রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র নিতে হয় শিক্ষকদের কাছ থেকে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, আমাদের দেশে শিক্ষকেরা চিঠিগুলো লেখেন না, সাধারণত ছাত্রকেই লিখে আনতে হয় নিজের রেকমেন্ডেশন, আর শিক্ষকেরা কেবল তা সই করে দেন। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়ার সাথে জড়িত অনেকের সাথে কথা বলে দেখেছি, তারা এই ব্যাপারটি জানেন ভালোই। তাই ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো হতে আসা রেকমেন্ডেশন তারা খুব একটা পাত্তা দেন না। অনেক ক্ষেত্রেই “এই ছাত্র আমার দেখা সেরা ছাত্র”-টাইপের লেখা একই শিক্ষক একই বছরে একাধিক ছাত্রকে লিখে দেন, তাতে বোঝা যায়, কপিপেস্ট চিঠিতে সই করেছেন মাত্র।

টেস্ট স্কোর
টোফেল বা জিআরই স্কোর মূলত ব্যবহার করা হয় আবেদনকারীদের প্রাথমিক বাছাইয়ে, স্কোরের নিম্নসীমা দিয়ে অনেক আবেদনকারীকে শুরুতেই বাদ দেয়া হয়। এটা একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক রকম। অনেক জায়গায় বলে দেয়া থাকে কতো স্কোর লাগবে। আবার অনেক জায়গাতে জিআরই স্কোর দেয়া লাগে না। কিছু কিছু বিষয়, যেমন কম্পিউটার বিজ্ঞানে বিষয়ভিত্তিক জিআরই স্কোর চাওয়া হয়। খেয়াল রাখতে হবে, এই স্কোরটি কি রেকমেন্ডেড নাকি রিকোয়ার্ড। রেকমেন্ডেড মানে “দিলে ভালো” , আর রিকোয়ার্ড মানে দিতেই হবে।

বাছাই
যাহোক, আবেদন করার পর শুরুতে অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সাথে সম্পৃক্ত অফিস সহকারীরা টোফেল বা জিআরই-র কাঁচি চালিয়ে কিছু আবেদনপত্র কমিয়ে ফেলে। তার পর যা বাকি থাকে সেগুলো যায় ভর্তি কমিটির কাছে। ভর্তি কমিটিতে সাধারণত থাকে অধ্যাপকেরা, আর অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কয়েকজন প্রতিনিধিও থাকে। শিক্ষকেরা প্রধানত স্টেটমেন্ট অফ পারপাস নামের রচনাটি দেখে বোঝার চেষ্টা করেন এই ছাত্রটি কেমন হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই আবেদনপত্রগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয় শিক্ষকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে, (১) হ্যাঁ (২) না (৩) দেখা যাক।
হ্যাঁ গ্রুপে যারা আছে, তাদেরকে শুরুতেই ভর্তি ও ফান্ডিং এর প্রস্তাব পাঠানো হয়। ভালো ছাত্রদের টেনে আনার জন্য অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্লেন ভাড়া/হোটেল ভাড়া দিয়ে এসব ছাত্রদের বেড়াতে নিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে। (আমার সাবেক গ্রুপের এক ছাত্রকে জাপান থেকে এনেছিলো)। ছাত্ররাও এসময় মুফতে একাধিক জায়গায় ঘুরে বেড়ায়, অধ্যাপক ও পুরানো ছাত্রদের সাথে কথা বলে, তার পর সিদ্ধান্ত নেয় কোথায় ভর্তি হলে। এটা অনেক সময় ফেব্রুয়ারি মাসেই জানানো হয়।
প্রথম দফায় যাদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তারা কেউ কেউ রাজী না হলে ২য় দফায় ভর্তির প্রস্তাব দেয়া হয়। এই দফার প্রস্তাব আসে অনেক সময় মার্চ বা এপ্রিলে।
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অলিখিত চুক্তি অনুসারে ফান্ডিং সহ ভর্তির প্রস্তাব গ্রহন করলে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই লিখিত কমিটমেন্ট দিতে হয়। ১৫ তারিখ পেরিয়ে গেলে আর ভর্তির সিদ্ধান্ত পালটানো যায় না।

পরামর্শ
১) স্টেটমেন্ট অফ পারপাস ভালো করে লিখুন। হুট করে লিখবেন না। মাস খানেক সময় নিয়ে ভালো করে লিখুন। নেট থেকে বা বড় ভাইদের থেকে নেয়া “চোথা” ব্যবহার করবেন না। ওগুলো ভর্তি কমিটির লোকজন দেখলেই চিনতে পারে।
২) রেকমেন্ডেশন লেটার ভালো করে লিখতে বলুন শিক্ষককে। তাতে আপনি ঐ শিক্ষকের ক্লাসে/কোর্সে কেমন করেছেন, আপনি নিজের উদ্যোগে কাজ করতে পারেন, এই রকমের কথা লিখতে বলুন।
৩) টেস্টগুলো ছাত্রাবস্থাতেই দিয়ে ফেলুন। ছাত্রাবস্থা শেষ করে চাকুরিরত অবস্থায় টেস্ট দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
(আমি কেবল প্রকৌশল ও বিজ্ঞান বিষয়ের উচ্চতর শিক্ষার ব্যাপারেই ওয়াকিবহাল, কাজেই এই তথ্যগুলো এসব বিষয়ের জন্যই প্রযোজ্য)
(এই সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্য ও সহায়িকা বুয়েটের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সাবেক ছাত্রছাত্রীদের ওয়েবসাইট http://www.csebuet.org/advice.html-এ পাবেন।)

লেখক: অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সাইন্সেস, ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা অ্যাট বার্মিংহাম, বার্মিংহাম, আলাবামা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েব সাইট: http://www.ragibhasan.com

মনবুকাগাসু বৃত্তি নিয়ে জাপানে পড়ার সুযোগ

Print Friendly and PDF
প্রতি বছর জাপান সরকারের বৃত্তি কর্মসূচির অধীনে জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সারাবিশ্বের শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। পূর্বে এটি মনবুশো বৃত্তি নামে পরিচিত ছিল। এ কর্মসূচি পরিচালনা করে জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। যেসব দেশের সাথে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে মূলত: সেসব দেশের নাগরিকরাই এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বৃত্তির অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৬০টি দেশের প্রায় ৬৫০০০ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মাহমুদুল হাসান
বৃত্তির ধরন
জাপান সরকার প্রদত্ত এ বৃত্তি ৭ ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-
গবেষণা শিক্ষার্থী
আপনার বয়স অবশ্যই ৩৫ বছরের নিচে এবং স্নাতক পাস হতে হবে। মাস্টার্স, এমফিল বা পিএইচডি’র জন্য আবেদন এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে করতে হবে। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষায় অধ্যয়নে ইচ্ছুক হতে হবে। তবে এমফিল বা পিএইচডি’র মতো উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে গবেষণার সুযোগ থাকলেও জাপানি ভাষা না জানা থাকলে বৃত্তি পাওয়া যাবে না।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ পর্যায়
৩৫ বছরের কম বয়সী যে কোনো প্রার্থীকে ন্যূনতম স্নাতক হতে হবে। অবশ্যই প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা টিচার ট্রেনিং কলেজে শিক্ষক হিসেবে ৫ বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকেরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী
এ ক্ষেত্রে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৭ থেকে সর্ব্বোচ্চ ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। তবে স্নাতক সম্পন্নকারীরাও আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষায় অধ্যয়নে ইচ্ছুক হতে হবে।
প্রতিবছর দূতাবাসের সুপারিশে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনোটিতে ৪ বছরের স্নাতক প্রোগ্রাম শুরুর পূর্বে Osaka University Center for Japanese Language and Culture -এ ১ বছরের প্রস্তুতিমূলক প্রোগ্রাম করতে হবে।
জাপানিজ স্টাডিজ শিক্ষার্থী
আবেদনকারীদের অবশ্যই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া নিজ দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতিতে আন্ডার গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। এ বিভাগে জাপানি ভাষা বা সংস্কৃতি ছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের মূল অধ্যয়নের অংশ হিসেবে আরও কিছু বিষয়ে পড়তে পারবেন। যেমন- জাপানের প্রকৌশল, অর্থনীতি, কৃষি, স্থাপত্য প্রভৃতি। এ ক্যাটাগরিতে স্বল্পমেয়াদী স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রমোশন প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য JASSO(Japan Student Services Organization)-তে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষায় ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
প্রকৌশল কলেজের শিক্ষার্থী
আপনার বয়স অবশ্যই কমপক্ষে ১৭ থেকে সর্ব্বোচ্চ ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস হতে হবে। স্নাতকরাও আবেদন করতে পারবেন।
বিশেষ প্রশিক্ষণ কলেজ শিক্ষার্থী
আপনার বয়স ১৭ থেকে ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে।
ইয়াং লিডার’স প্রোগ্রাম
আবেদনকারীদের অবশ্যই তরুণ জনপ্রশাসক হতে হবে। যারা নিজেদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ জাতীয় নেতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালনের প্রত্যাশী তারাই এ ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহন করবেন। যাদের জনপ্রশাসনে ৩ থেকে ৫ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা আছে এমন স্নাতক পাস ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে।
বৃত্তির আবেদনে সুপারিশ ব্যবস্থা
বৃত্তির আবেদনে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ৩টি সুপারিশ ব্যবস্থায় আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যেমন-
দূতাবাসের সুপারিশ
আবেদনকারীদের প্রাথমিকভাবে দূতাবাস কর্তৃক বাছাই করা হয়। প্রাথমিক বাছাই হিসেবে লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা জুন থেকে আগস্টের মধ্যেই করা হয়। তারপর দূতাবাস নির্বাচিত প্রার্থীদের সেপ্টেম্বরের শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাপানের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশ
গবেষণা শিক্ষার্থী (Research Students) এবং জাপানিজ স্টাডিজ ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট একচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাপানি সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই বাছাই করে থাকে। সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে।
অভ্যন্তরীণ বাছাই
বেসরকারিভাবে অর্থায়নকৃত পূর্ণকালীন স্নাতকোত্তর ও চার বছর মেয়াদী স্নাতক শিক্ষার্থীদেরকে অভ্যন্তরীণ বাছাইয়ে বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হয় যা প্রতিবছর এপ্রিলেই শুরু হয়। জাতীয়, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে এ বাছাই কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের বাছাই করে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বৃত্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়।
বৃত্তিতে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা:
১. ভাতা
২০১১ শিক্ষাবর্ষের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক গবেষণা শিক্ষার্থীকে ১৫০,০০০ ইয়েন, মাস্টার্স প্রোগ্রাম ও প্রফেশনাল ডিগ্রী প্রোগ্রামের জন্য ১৫২,০০০ ইয়েন, ডক্টরেট প্রোগ্রামের জন্য ১৫৩,০০০ ইয়েন প্রদান করা হবে। গবেষণার জন্য প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ২০০০ বা ৩০০০ ইয়েন বৃত্তি প্রদানের বিষয় বিবেচনা করা হয়। অবশ্য এই অর্থের পরিমান প্রতি বছরের বাজেটের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হয়। যেসব শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকবে তাদের এ অর্থ প্রদান করা হবে না।
২. যাতায়াত খরচ
জাপানে গমন: কর্তৃপক্ষের নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীর বাসস্থানের নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট থেকে নারিতা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সাধারণ শ্রেনীর বিমান টিকিটের মূল্য প্রদান করা হবে। তবে শিক্ষার্থীর থাকার স্থান থেকে নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াতের খরচ, বিমানবন্দরের শুল্ক, বিমানবন্দরের চার্জসমূহ, বহির্গমনে বিশেষ কর এবং জাপানের মধ্যে ভ্রমণ খরচ প্রভৃতি শিক্ষার্থীকেই বহন করতে হবে (বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রের থাকার স্থান আবেদন ফরমে ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা থাকে)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসলে ভ্রমণ ভাতার কোনো সুযোগ নেই।
জাপান থেকে যাতায়াত : আবেদন অনুযায়ী বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী যদি সর্বশেষ সময়ের মধ্যে তার দেশে ফিরতে পারে তবে তাকে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার দেশের বিমানবন্দরে পৌছানোর সাধারণ শ্রেণীর বিমান টিকিট প্রদান করা হবে। তবে ভ্রমনের বীমা প্রিমিয়াম বৃত্তিপ্রাপ্তকে বহন করতে হবে।
৩. শিক্ষা ভাতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে তালিকাভুক্তি, ভর্তিখরচ ও পরীক্ষা জাপান সরকার কর্র্র্তৃক প্রদান করা হবে। যদি অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি পান তবে শিক্ষার্থীকেই পরীক্ষার ফিস প্রদান করতে হবে।
৪. আবাসন ব্যবস্থা
প্রথম বছরে কর্তৃপক্ষ বৃত্তিপ্রাপ্তের জন্য প্রস্তুতিমূলক প্রতিষ্ঠানের হলে থাকার ব্যবস্থা করবে বা প্রোগ্রাম কর্তৃপক্ষ অন্য ব্যবস্থা করবেন। প্রস্তুতিমূলক কোর্স শেষে আবাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে জাপানের এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন। প্রতিষ্ঠানটি বিদেশী শিক্ষার্থীদের হলগুলো পরিচালনা করে। টোকিও বা ওসাকা ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পান।
এছাড়া বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রয়েছে। রয়েছে বেসরকারি বোর্ডিং হাউজ। তবে আবেদনকারী সব ছাত্রের হলে ব্যবস্থা করা হয় না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে।
বৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা

শিক্ষাগত যোগ্যতা : আবেদনকারীকে কোনো জাপানি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা জাপানি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকের সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। একজন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে বলে বিবেচিত হবে, যদি কোন প্রার্থী-
১৬ বছরের শিক্ষা সমাপ্ত করেছে বা করবে অথবা তার বয়স ২২ বছর বা তার বেশি। বাছাই পরীক্ষায় পাশ করেছেন এবং যার বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়ন রয়েছে।
জাপানে স্নাতকে ভর্তির জন্য আবেদনের সাথে যোগ্যতার সন্তোষজনক সনদপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন ডক্টরেট কোর্স সমাপ্তকারীকে আবেদনের প্রয়োজন নেই।

জাপানি ভাষা
আবেদনকারীকে অবশ্যই জাপানি ভাষা শিখতে আগ্রহী হতে হবে। শিক্ষা ও গবেষনায় নিযুক্তির যোগ্যতা হিসেবে জাপানের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।

স্বাস্থ্য
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার অধিকারী হতে হবে।

জাপানে পৌঁছা
বৃত্তিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত সেমিস্টারের শুরুর দুই সপ্তাহের মধ্যে জাপানে পৌঁছতে হবে। এ সময়ের মধ্যে জাপান পৌছাতে ব্যর্থ হলে যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হবে না।

ভিসার প্রয়োজনীয় জিনিস
নির্বাচিত আবেদনকারীকে জাপানে যেতে অবশ্যই কলেজ স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হবে। জাপানে পৌঁছানোর পরে আবেদনকারী তার আবাসস্থল পরিবর্তন করলে জাপান সরকারের বৃত্তির জন্য সে অযোগ্য হবে।
পড়ার বিষয়
আবেদনকারীর এমন বিভাগে আবেদন করা উচিৎ যে বিষয়ে সে আগে পড়েছে বা এর সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে। জাপানে সাধারণত নিম্নোক্ত বিষয়ে বৃত্তি দেয়া হয়-
সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক
আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, জাপানি ভাষা ইত্যাদি।
এগুলোই মূলত: স্নাতকে পড়ানো হয়। অন্যান্য ক্যাটাগরিভুক্ত বিষয়গুলো খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। তবে নন্দনতত্ত্ব, শিক্ষাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, মিউজিক, ফাইন আর্টস প্রভৃতিও গবেষণার বিষয় হিসেবে মাস্টার্স ও পিএইচডিতে চালু আছে।
ন্যাচারাল সায়েন্স
বিজ্ঞান (গনিত, পদার্থ, রসায়ন), ইলেকট্রন ও ইলেকট্রনিক স্টাডিজ (ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং), মেকানিক্যাল স্টাডিজ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, নেভাল আর্কিটেকচার, এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং), কেমিক্যাল স্টাডিজ (অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং অন্যান্য (মেটালারজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মার্কেন্টাইল মেরিন, বায়োটেকনোলজি)
এগ্রিকালচারাল স্টাডিজ (এগ্রিকালচার, এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি, অ্যানিম্যাল সায়েন্স, ভেটেরিনারি মেডিসিন, ফরেস্ট্রি, ফুড সায়েন্স, ফিশারিজ), হাইজেনিক স্টাডিজ (ফার্মেসি, হাইজিনিকস, নার্সিং), সায়েন্স (বায়োলজি) মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, হোম ইকোনমিক্স
পরিশেষে…
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য Monbukagakusho বৃত্তি একটি সুযোগ। এ বৃত্তির ব্যবস্থা না থাকলে জাপানে পড়াশোনা আমাদের জন্য একরকম অসম্ভব হতো। কারণ জাপানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম জবের সুযোগ নেই। আর জাপানের মুদ্রা ইয়েন ও টাকার মুদ্রামান অভিন্ন। তাই জাপান গমন উপার্জন ব্যতীত শুধু ডিগ্রী অর্জনের উদ্দেশ্যেই সম্ভব। এ বৃত্তির জন্য IELTS বিবেচনা করা হয় না। জাপানি ভাষা জানা থাকলে শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। জাপানি দূতাবাসের অধীনে সম্পাদিত জাপানি ভাষার কোর্সই বেশি গ্রহণযোগ্য।
বৃত্তি গ্রহীতাকে জাপানি দূতাবাস কর্তৃক প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। তাই আবেদনের প্রক্রিয়ার জন্য জাপানি দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। প্রতিবছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে আবেদনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আবেদনের নির্দেশাবলী জাপানে বৃত্তির নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে:
বাংলাদেশে জাপানী দূতাবাসের ঠিকানা
প্লট ৫ ও ৭
দূতাবাস রোড,
ডিপ্লোমেটিক এনক্লেভ
বারিধারা, ঢাকা-১২১২

হতে পার গ্রাফিক্স ডিজাইনার

Print Friendly and PDF

রাসেল আহমেদ
www.naboprottoy.blogspot.com
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে কাজের ধরন। সঙ্গে নতুন নতুন পেশার উদ্ভব হচ্ছে। সেখানে আপনি আপনার মেধা ও মননশীলতার উৎকর্ষ দেখাতে পারেন। এভাবেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল মানুষ। কর্মজীবনটা হয়ে উঠতে পারে সাফল্যের। আপনি আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে সাজিয়ে তুলতে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন অফুরান সম্ভাবনাময় পেশা গ্রাফিক্স ডিজাইন। আত্মবিশ্বাস ও নান্দনিক শিল্পবোধসমৃদ্ধ যে কেউ এ পেশার মাধ্যমে নিজেকে সাফল্যের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারেন। দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদাও বাড়ছে।

ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে কী কী করতে হবে?
প্রথমেই জানা দরকার গ্রাফিক্স সফটওয়্যার কী? কম্পিউটারের মাধ্যমে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজাইনের কাজ করা হয় সেগুলোই হলো গ্রাফিক্স সফটওয়্যার। আমাদের দেশে বেশি ব্যবহৃত হয় এমন কয়েকটি সফটওয়্যার হলো_ এডব ফটোশপ, এডব ইলাস্ট্রেটর, এডব ইমেজ রেডি, কোয়ার্ক এক্সপ্রেস, পেজমেকার ইত্যাদি। এসব সফটওয়্যার বিভিন্ন কাজের জন্য বিশেষ উপযোগী। এডব ফটোশপ ও এডব ইমেজ রেডি ছবি সম্পাদনা ও ইফেক্ট সংযোজন করার কাজে পারদর্শী। কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ও পেজমেকার ব্যবহার করে প্রেসে প্রিন্ট করার প্রিন্টিং ফরম্যাট সাজানো হয়।
** গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে কী কী সফটওয়্যার শিখতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য অনেক সফটওয়্যার রয়েছে। তবে কাজের ধরন অনুযায়ী সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে অনেক ধরনের সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে আপনাকে। নির্দিষ্ট কোনো সফটওয়্যার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে চলবে না। যত বেশি গ্রাফিক্স সফটওয়্যার জানা থাকবে কাজের পরিধিও তত বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে উপার্জনও বাড়বে অনেকগুণ। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে নূ্যনতম তিনটি সফটওয়্যার শিখতে হবে। আমাদের দেশে বিভিন্ন পাবলিকেশন অ্যাড ফার্ম রয়েছে। পত্রিকায় কাজ করার জন্য প্রধানত এডব ফটোশপ, এডব ইলাস্ট্রেটর ও কোয়ার্ক এক্সপ্রেস এ তিনটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে হলে একজন নারী বা পুরুষের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক কিংবা সমমানের হতে হবে। সেইসঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তবে এ পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে গ্রাফিক্স সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
** গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের একটি বড় ক্ষেত্র। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর একাডেমিক কোর্স রয়েছে। সেগুলো অবশ্য অনেকটা ব্যয়বহুল এবং কোর্সগুলোও দীর্ঘমেয়াদি। যারা উচ্চ পর্যায়ের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে আগ্রহী, তারা এসব প্রতিষ্ঠানে কোর্স করতে পারেন আর যাদের হাতে সময় কম তারা বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিন বা ছয় মাসের কোর্সও করতে পারেন। এছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদফতর এ ধরনের কোর্স পরিচালনা করে, সেখান থেকেও প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে।
** গ্রাফিক্স ডিজাইন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজেই আমাদের দেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের সুযোগ রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ডিজাইন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। তাই প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞাপন শিল্প থেকে শুরু করে প্রিন্টিং শিল্পের সব ধরনের কাজেই গ্রাফিক্সে যথেষ্ট কাজ হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের গ্রাফিক্স ডিজাইন আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশেই শুধু নয়, এখন সারাবিশ্বেই ক্রিয়েটিভ বা গ্রাফিক্স সেক্টরে জব মার্কেট অনেক ভালো। এ পেশায় সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। জব মার্কেট উন্নত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের এখানে শিক্ষার মান অবশ্যই বেড়েছে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইন পড়ানো হচ্ছে।
কোথায় পড়াশোনা করা যায় : ফাইন আর্টস, গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউট, শান্ত মারিয়াম, ইউডাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়েছে। এখন লেখাপড়ার পরিবেশও অনেক ভালো বলা যায়। কয়েক বছর আগেও এমন পরিবেশ ছিল না। বর্তমানে আমাদের দেশে এত বেশি অ্যাডফার্ম, এত বেশি আইডিয়া, এত বেশি ডিজাইনার_ তার মধ্যে সারভাইভ করা অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। যদি কাজে স্বকীয়তার প্রকাশ না থাকে তাহলে টিকে থাকাটাই কষ্টকর। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও আইডিয়া লেভেল ভালো না হলে তিনি হয়তো কাজ করতে পারবেন, তবে চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না।
পেশা হিসেবে মর্যাদা :গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি সম্মানজনক পেশা। এ পেশায় বেতনটা নির্ভর করে দক্ষতার ওপর। এ সেক্টরে মাসে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা আয় করা যায় সহজেই। আর প্রথম সারির দৈনিক, টিভি চ্যানেল, অ্যাড ফার্মগুলোতে চাকরি হলে বেতন অনেক বেশি। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনারদের বেতন দশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে এক লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য পেশার চেয়ে এখানে ঝামেলা কম। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিসে ঠায় বসে থাকতে হয় না।

 
Design by AbsCreation