প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Print Friendly and PDF
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড  খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান বিদ্যাপিঠ। এটি ঢাকা শহরের  প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
নব প্রত্যয় ফাউন্ডেশন
১৯২১ সালে মাত্র ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক ও ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি আবাসিক হল ছিল।

বর্তমানে ১৩টি অনুষদ (ভর্তি কার্যক্রম চলে ১০টি অনুষদের মাধ্যমে), ৬৬টি বিভাগ, ৮টি ইনস্টিটিউট, ১৭টি ডরমেটরি, ৩টি হোস্টেল সহ ৩৭টি গবেষণা সেন্টার রয়েছে (তথ্য সূত্র: একাডেমিক ক্যালেন্ডার ২০০৯-১০)। আর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩৩১১২ জন ও শিক্ষকের সংখ্যা  প্রায় ১৮০৫ জনে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রতি বছর এখানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
দেশের ক্রান্তিকালে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল তৎপর। এখনও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। গত ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি উদযাপন করে প্রতিষ্ঠার ৯০ বছর। শিক্ষাঙ্গণ পরিচিতি বিভাগে আমাদের এবারের আয়োজন দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ নিয়ে।
অবস্থান
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ২৫৮ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালে যার আয়তন ছিল ৬০০ একর বা ২.৪৩ বর্গকিলোমিটার। এর উত্তর দিকে নিউ এলিফ্যান্ট রোড। পশ্চিমে ইডেন কলেজ, দক্ষিণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পূর্বে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ।
ইতিহাস
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান প্রস্তাবক। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া  শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তৎকালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক ইতিহাসবিদ মতে বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন ‘স্পেল্নডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন’।
পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব  সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দ চন্দ্র রায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ এ টি আচির্বল্ড, জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়,  ঢাকা মাদরাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ এইচ আর জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি ডব্লিউ পিক এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশচন্দ্র আচার্য।
১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাস করে ‘দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০’। নাথান কমিশন রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ।
শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। কলকাতার তৎকালীন একটি শিক্ষিত মহল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। এ ছাড়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশ হয়। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ছিলেন স্যার পি জে হার্টস। প্রথম মুসলমান, বাঙালি ও উপমহাদেশের প্রথম ভিসি স্যার এ এফ রহমান। বর্তমানে ২৭তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়।  কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ান, গণিত এবং আইন।
প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭। শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজি বিভাগ, এমএ-১৯২৩)।
যে সব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেনÑ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ সি টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি এইচ ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ এ জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ এফ রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তির পর তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকা  শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সালের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ শহীদ হয়েছেন বহুজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ
কলা, জীববিজ্ঞান, বাণিজ্য, পরিবেশবিজ্ঞান, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, চারুকলা, আইন, চিকিৎসাবিদ্যা, পিজিএমআর, ফার্মেসি, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
কলা অনুষদের বিভাগ সমূহ
বাংলা
ইংরেজি
ফারসি ও উর্দু
দর্শন
ইতিহাস
আরবি
ইসলামিক স্টাডিজ
সংস্কৃত ও পালি
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা
ভাষাবিজ্ঞান
নাট্যকলা ও সঙ্গীত
বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব
বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগসমূহ
পদার্থ বিজ্ঞান
গণিত
রসায়ন
পরিসংখ্যান
আইন অনুষদ
আইন বিভাগ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদদের বিভাগসমূহ
অর্থনীতি
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
সমাজ বিজ্ঞান
লোক প্রশাসন
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
নৃবিজ্ঞান
পপুলেশন সায়েন্সেস
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন
উইমেন্স স্টাডিজ
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বিভাগসমূহ
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস
মার্কেটিং
ফিন্যান্স
ব্যাংকিং
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস
জীববিজ্ঞান অনুষদের বিভাগসমূহ
মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ
উদ্ভিদ বিজ্ঞান
প্রাণিবিদ্যা
প্রাণ রসায়নও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান
মনোবিজ্ঞান
অণুজীব বিজ্ঞান
মৎস্য বিজ্ঞান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি
ফার্মেসি অনুষদের বিভাগসমূহ
ফার্মাসিউটিকাল কেমিস্ট্রি
ক্লিনিকাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি
ঔষধ প্রযুক্তি
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি অনুষদ
ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ
ভূগোল ও পরিবেশ
ভূতত্ত্ব
চারুকলা অনুষদ
ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং
গ্রাফিক ডিজাইন
প্রাচ্যকলা
ভাস্কর্য
কারুশিল্প
মৃৎশিল্প
শিল্পকলার ইতিহাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটসমূহ
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
পরিসংখ্যান গবেষণা ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট
তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র
বায়ো মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার
ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ
ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ
দেভ সেন্টার অব ফিলোসফিক্যাল রিসার্চ
বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ  ইন ন্যাচারাল সায়েন্স
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সায়েন্স
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন হিউম্যানিটিজ
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
সেন্টার ফর ডিজাস্টার রিসার্চ
ট্রেনিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সাইন্স
সেন্টার ফর রিসার্চ ইন আর্কাইভ অ্যান্ড হিস্টরি
নজরুল রিসার্চ সেন্টার
নাজমুল করিম স্টাডিজ সেন্টার
সেমিকন্ডাক্টার টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার
সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ
নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা কেন্দ্র
ডেলটা স্টাডি সেন্টার
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ  ইন ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস
সেন্টার ফর বায়ো-টেকনোলজি রিসার্চ
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ
হিস্টরি রিসার্চ সেন্টার
বায়োটেকনোলজি রির্সাচ সেন্টার
ঢাকা ইউনির্ভাসিটি সাইবার সেন্টার
সেন্টার ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং
জাপান স্টাডিজ সেন্টার
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ ইন আর্টস এন্ড সোস্যাল সায়েন্স (সিএআরএএসএস)
সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল স্টাডিজ
বাংলাদেশ কালচারাল রিসার্চ সেন্টার
ড. সিরাজুল হক ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার
সেন্টার ফর করর্পোরেট গর্ভরনেস অ্যান্ড ফাইনেন্স স্টাডিজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও হোস্টেলসমূহ
জগন্নাথ হল (১০৭২)
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (২১২৫)
শহীদুল্লাহ হল (পুরাতন ঢাকা হল) (১০৯৫)
ফজলুল হক মুসলিম হল (৭৬৬)
জহুরুল হক হল (পুরাতন ইকবাল হল) (৯০৭)
রোকেয়া হল (১৩৭৪)
স্যার পি জে হার্ট হল
সূর্যসেন হল (পুরাতন জিন্নাহ হল) (৫৭৭)
হাজী মো: মহসীন হল (১৪২০)
শামসুননাহার হল (১৩০০)
কবি জসীমউদ্দীন হল (৩৮৭)
স্যার এ এফ রহমান হল (৪৯২)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (৭৪০)
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল (৪৭৪)
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল (৬০৮)
বেগম ফজিলাতুন্নিসা হল (৬৪৯)
অমর একুশে হল (৫৯৬)
আইবিএ হোস্টেল, বেগম ফয়জুন্নেসা হল (১৫০)
ডিগ্রি সমূহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, এমফিল, মাস্টার্স ও অনার্স ডিগ্রি দেওয়া হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ডিপ্লোমা ডিগ্রিও দিয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তিপদ্ধতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীকে এইচএসসি বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। মোট পাঁচটি ইউনিটে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। ভর্তি  পরীক্ষায়  প্রার্থী নির্বাচিত হয় ভর্তি পরীক্ষা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কোটা, উপজাতি কোটা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা এবং অন্ধ কোটায় ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
ডাকসু
বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ডাকসুকে কেন্দ্র করেই। তবে সম্প্রতি এই ঐতিহ্যবাহী ডাকসু ভবনকে ভেঙে ১২ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩ তলাবিশিষ্ট ভবন তৈরি করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আদলে তৈরি করা হচ্ছে বহুতল নতুন ডাকসু ভবন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের স্মরণীয় করে রাখতে একটি স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নতুন ডাকসু ভবনের প্রথম তলা ফাঁকা থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, তৃতীয় তলায় থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়াম অর্থাৎ ডাকসু সংগ্রহশালা। এছাড়া থাকবে ডাকসুর জন্য অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, একাধিক সেমিনার কক্ষ, লাইব্রেরি, ডাকসু নেতাদের জন্য আলাদা কক্ষ।
টিএসসি
ছাত্র-শিক্ষক মিলন কেন্দ্র খ্যাত এই স্থাপনার স্থপতি কনস্টানটাইন ডক্সাইড। এই স্থানটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক ছাড়াও নগরের অনেক মানুষের মিলন কেন্দ্র। সাস্কৃতিক চর্চার এই স্থানটি বহু সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
মধুর রেস্তোরা
মধুসূদন দে-এর স্মৃতি স্মরণে স্থাপিত একটি বিখ্যাত রোস্তোরা যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে অবস্থিত। এটি ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামে অধিক পরিচিত। ‘মধু দা’ ও ‘মধুর কেন্টিন’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য নাম।
অপরাজেয় বাংলা
অপরাজেয় বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। এর স্থাপত্য শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ভাস্কর্যটি তৈরির কাজ ১৯৭৩ সালে শুরু হয়ে ১৯৭৯ সালে শেষ হয়। ৬ ফুট বেদীর উপর নির্মিত এর উচ্চতা ১২ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট।
এছাড়াও উল্লেখ করার মত বেশ কিছু স্থাপত্য শিল্প রয়েছে । বিশেষ করে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, জয় বাংলা, জয় তারুণ্য, রাজু সন্ত্রাস বিরোধী ভাস্কর্য, স্বাধীনতা সংগ্রাম, দোয়েল চত্বর, তিন নেতার মাজার, ক্যাঁকটাস অন্যতম।
একনজরে
মটো : সত্যের জয় সুনিশ্চিত
Truth Shall Prevail
প্রতিষ্ঠা : ১৯২১ সালে
ধরন : পাবলিক, সহশিক্ষা
চ্যান্সেলর : রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান
ভাইস-চ্যাঞ্জেলর : আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
অ্যাকেডেমিক স্টাফ : ১৮০৫
ছাত্রছাত্রী : ৩৩১১২
আয়তন : ২৫৮ একর বর্তমান
প্রতিষ্ঠাকালীন আয়তন : ৬০০ একর
প্রথম মহিলা শিক্ষক : করুণাকণা গুপ্তা (ইতিহাস)
প্রথম ছাত্রী : লীলা নাগ
প্রথম ভিসি : পি.জে, হার্টস
প্রথম মুসলমান ও উপমহাদেশের ভিসি : স্যার, এ. এফ. রহমান (প্রথম বাঙালি)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রথম ভিসি : ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
ওয়েবসাইট : du.ac.bd , univdhaka.edu
লেখক :  শরীফ হুসাইন

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by AbsCreation