শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সুইডেনে উচ্চশিক্ষা

Print Friendly and PDF
পড়ার বিষয়
পরিবেশ বিজ্ঞান, ভাষা শিক্ষা , কৃষি গবেষণা ও  ইঞ্জিনিয়ারিং- এসব বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুইডেনকে আদর্শ বলা হয়। তবে এর পাশাপাশি আরো কিছু বিষয়  উল্লেখযোগ্য। বিষয়গুলো হলো- এমবিএ, টেলিকমিউনিকেশন, আইন, ম্যাথমেটিক্স, জনস্বাস্থ্য, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, মেডিক্যাল, অর্থনীতি, ভূগোল, হিউম্যান রিসোর্স, হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট, ফিল্ম ও মিডিয়া, লাইফ সাইন্স ইত্যাদি।
ভাষা ও শিক্ষাব্যবস্থা
সুইডেনের অফিসিয়াল ভাষা সুইডিশ হলেও প্রায় ৮৯% মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারে। তাই সেখানে ইংরেজিকে সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ বলা হয়। এখানে সুইডিশ ও ইংরেজি –উভয়ই মাধ্যমেই পড়াশুনা করা যায়। অনার্স পর্যায়ে সুইডিশ ভাষা জানলে ভালো। তবে মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধা হলো প্রায় ৬০০’র বেশি বিষয় ইংরেজি ভাষায় পড়া যায়। সুইডেনে অনার্স ৩/৪ বছর, মাস্টার্স বিষয়ভেদে ১/২ আবার কোনোটাতে ৩ বছরও লেগে যায়। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন মেয়াদী নন-ডিগ্রি প্রোগ্রাম, ডিপ্লোমা, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টোরাল ও কিছু প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম। National Agency for Higher Vocational Education- এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম করানো হয়। বর্তমানে শ্রম-বাজারে এসব প্রশিক্ষণের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা যায়।
প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
Myndigheten for yrkeshogskolan
Box- 145
SE-721 05 vasteras, Sweden.
Email: info@yhmyndigheten.se
যোগ্যতা
ভর্তির শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভেদে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই করা হয়। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাডেমিক ফলাফল দেখে আবার কখনো বা ভাষাগত যোগ্যতা দেখে। সুতরাং ভাষা ও বিগত পরীক্ষাগুলোর ফলাফল উভয়ই ভালো হওয়া দরকার। সুইডিশ ভাষার জন্য আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (কলাভবন, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়) থেকে কোর্স করতে পারেন। অপরদিকে, ইংরেজি ভাষার দক্ষতাস্বরূপ  TOEFL বা IELTS এর প্রাপ্ত নাম্বার দেখা হয়। TOEFL পরীক্ষার মোট ১২০ নাম্বারে নূন্যতম ৮৫ নাম্বার এবং IELTS পরীক্ষার ৯.০ পয়েন্টের মধ্যে নূন্যতম ৬.৫ পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে বসেও IELTS ও TOEFL পরীক্ষায় নিজের যোগ্যতা যাচাই করতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে- www.ielts.org
IELTS পরীক্ষার কেন্দ্র-
British Council Dhaka
5, Fuller road, -1000
Tel no.+88 02 8618905
TOEFL পরীক্ষার কেন্দ্র-
1. American Alumni Association
House 145, Street 13B, Banani
Dhaka 1213
Phone: +88029881669
2. Grameen Star Education Center
69/B, Panthopath, Dhaka
আবেদনের সময়
সুইডেনে বছরে দুটি সেমিস্টার। একটির মেয়াদ আগস্টের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। অপরটি মধ্য জানুয়ারি থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত। বিদেশে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ও ভিসা নিয়ে প্রায় ৬ মাস এমনকি এক বছরও সময় লেগে যায়। তাই যে সেমিস্টারে ভর্তি হতে আগ্রহী সেই সময়ের দিকে খেয়াল রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
পড়াশুনা ও থাকার খরচ
শুরুতেই অনলাইনে আবেদনপত্রের জন্য প্রায় ৯০০ SEK (১০৫৫৭ টাকা) ব্যয় করতে হয়। তাছাড়া বিষয়ভেদে অনার্স, মাস্টার্সে বছরে ন্যুনতম ৮০,০০০ SEK থেকে ১,৪০,০০০ SEK (৯,৩৮,৪০০টাকা-১৬,৪২,২০০টাকা) -এর মধ্যে খরচ পড়ে। এছাড়া থাকা, খাওয়া ও অন্যান্য খরচবাবদ বছরে প্রায় ৭৩৯৯ SEK (৮৫৬২৯ টাকা) খরচ হয়।
পার্টটাইম জব
যদিও অধিকাংশ শিক্ষার্থী- যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান তারা শুরুতেই পার্টটাইম জবের খোঁজ করতে থাকেন। তবে পড়াশুনার ক্ষতি করে পার্টটাইম জব করা ঠিক নয়। তাছাড়া সুইডেন সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ৫০০’র বেশি স্কলাপশিপ দিয়ে থাকে, যেগুলোর অনেকেই পড়াশুনাসহ থাকার খরচও বহন করে। তাই সুইডেনে পার্টটাইম জবের তেমন প্রয়োজন পড়ে না।  তবে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা বা ২০ ঘন্টার পার্টটাইম জব করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের জবের মধ্যে রয়েছে-
১. বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন। এই কাজে এক দিনে প্রায় ১২০ SEK থেকে ১৮০ SEK (১৪০৭ টাকা-২১১১ টাকা) আয় হয়।
২. বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কাজ করা। এতে মাসে ৭০০০ SEK থেকে ৮০০০ SEK (৮২,১১০ টাকা-৯৩,৮৪০ টাকা) আয় হয়।
৩. সপ্তাহের কয়েক দিন, খোলা বাজারে কাপড় বিক্রি করলে মাসে ৭০০০ SEK থেকে ৯০০০ SEK (৮২,১১০ টাকা-১,০৫,৫৭০ টাকা) আয় হয়।
স্কলারশিপ
আগেই বলেছি, সুইডেনে প্রচুর স্কলারশিপ আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
১. The Swedish Institute Study Scholarship
এই স্কলারশিপ মূলত অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে দেয়া হয়। এটি প্রায় ৭৫%-১০০% খরচ বহন করে। এর কার্যক্রম মার্চ মাস থেকে শুরু হয়।  কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যায়।
২. Swedish Institute Guest Scholarship
এটি মূলত পিএইচডি ও পোস্ট-ডক্টোরাল শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়। এটি পিএইচডি শিক্ষার্থীর জন্য মাসে ১২০০ SEK বা ১,৪০,৭৬০ টাকা এবং পোস্ট-ডক্টোরালের জন্য মাসে ১৫,০০০ SEK বা ১,৭৫,৯৫০ টাকা বহন করে।
৩. ইরামাস মানডাস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
এটা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে থাকে। প্রায় ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত। সুইডেনের Lund University, Swedish University of Agricultural science, Uppsala university ও Karolinska Institutet Medical University – এই প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত।
আরো জানতে ভিজিট করুন- http://www.scholars4dev.com/2979/erasmus-mundus-scholarships-for-developing-countries/
এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের যোগসূত্র থাকায় সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করেও বৃত্তি পাওয়া যায়।
তাছাড়া UNESCO ফেলোশিপ প্রোগ্রাম থেকেও সুইডেনে পড়ার জন্য স্কলারশিপ দেয়া হয়। মজার ব্যাপার হলো- বিভিন্ন বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা, ডিজাইন, লেকচার দেয়া- ইত্যাদির আয়োজন করেও বিদেশী শিক্ষার্থীরা সুইডেনে পড়াশুনার জন্য স্কলারশিপ পেতে পারেন। এ বিষয়ে জানতে দেখুন-www.studyinsweden.se/scholarships/scholarship-challenges/
অপরদিকে, ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের সাথে অনলাইনে মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ  করলেও তারা নিজেদের রিসার্চের অধীনে স্কলারশিপের খবরাখবর আন্তরিকতার সাথে দিয়ে থাকেন। তাছাড়া প্রতিবছর সুইডেনে পড়াশুনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নোটিশে বিভিন্ন স্কলারশিপের খবর থাকে। স্কলারশিপের খবর জানতে রীতিমত শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নোটিশে খোঁজ রাখুন।
দেখুন এই লিঙ্কে-  www.moedu.gov.bd
আবহাওয়া
যে কোনো দেশে যাওয়ার আগে সে দেশের আবহওয়া জেনে নেয়া ভালো। তা নাহলে সেই আবহাওয়ার সাথে খাপ নিজেকে খাপ খাইয়ে চলা কঠিন। পৃথিবীর উত্তর মেরুর দিকে হওয়ায় সুইডেনের আবহাওয়া মৃদু প্রকৃতির। জুলাই মাসের তাপমাত্রা প্রায় ১৩-১৭ ডিগ্রি সে. এর মধ্যে থাকে। ফেব্রুয়ারির দিকে প্রচণ্ড শীত। তাপমাত্রা অনেক সময় মাইনাস পর্যায়ে অর্থাৎ -৩ থেকে -২২ ডিগ্রি সে. এ নেমে যায়। দক্ষিণাঞ্চলে ডিসেম্বরে আর উত্তরাঞ্চলে অক্টোবরের দিকে বরফ পড়তে দেখা যায়। অপরদিকে গ্রীষ্মকালে এমনও দেখা যায় যে, দিনের ২৪ ঘন্টার  ১৯ ঘন্টাই সূর্যের আলো থাকে। অর্থাৎ রাতের অংশ কম।
ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং
অনলাইনে বা ডাকযোগে জরুরি কাগজপত্র জমা দেয়ার পর স্কলারশিপ পাওয়া স্বত্ত্বেও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেশের ব্যাংকে জমা আছে কিনা সেই ব্যাপারে একটা নিশ্চিতপত্র দেখাতে হয়। কেননা, পড়াশুনার বাইরে যে কোনো আপদকালীন সময়ে টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে। এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সুইডিশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করুন। ভর্তি নিশ্চিত হলে ইন্টারভিউ নিয়ে হাইকমিশন থেকেই ভিসা প্রদান করা হয়।
যোগাযোগ-
সুইডিশ হাইকমিশন
Embassy of Sweden
House 1, Road 51,
Gulshan 2
Dhaka 1212
Bangladesh
Tel: +880 2 883 31 44-47
Fax: +880 2 882 39 48
E-mail: ambassaden.dhaka@foreign.ministry.se
ambassaden.dhaka-visum@foreign.ministry.se
opening hours: Sunday-Thursday 08.00-16.00
প্রধান কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়
সাম্প্রতিক র‌্যাংকিং অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের লিংক দেয়া হলো-
লেখক : সম্পাদনা সহযোগী, ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স

বৃত্তি নিয়ে ভারতে পড়ার সুযোগ

Print Friendly and PDF
undefined
মাহমুদুল হাসান
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (ICCR) ভারত সরকারের একটি স্বায়ত্বশাসিত সংগঠন। এটি ভারতের বৈদেশিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে থাকে। স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ১৯৫০ সালের ৯ এপ্রিলে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ICCR এর অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে এর বিভিন্ন স্কলাশিপ প্রোগ্রাম। প্রতিবছর ২১টি স্কলারশিপ স্কীমের আওতায় বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশের ছাত্রদের ২০০০ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। যার অধিকাংশই এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশ। ICCR তার নিজস্ব স্কলারশিপ স্কীম পরিচালনা ছাড়াও ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অন্যান্য স্কীমের জন্য একটি সংস্থা হিসেবেও কাজ করে। দেশ ভিত্তিতে বৃত্তির পরিমাণ যদিও উল্লেখ করা থাকে না। তবে, সাধারণত এ বৃত্তিতে ৫০-৬০ জন বাংলাদেশী ছাত্র প্রতিবছর সুযোগ পেয়ে থাকে। অবশ্য এর বিপরীতে বহুগুণ আবেদন করে।
এ বৃত্তি গ্রহণকারীদের থাকা-খাওয়া সব খরচ বহন করে ICCR কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক সব ছাত্রের জন্য হলে থাকার ব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থীকে শুধু যাতায়াত খরচ বহন করতে হয়। টিকিট জমা দিলে সে খরচও দেয় ICCR কর্তৃপক্ষ। তাই আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট অর্জনে প্রত্যাশী ছাত্ররা এ বৃত্তি গ্রহণ করতে পারেন।
এ বৃত্তি সাধারণত দুটি শ্লটে বা সময়ে দেয়া হয়ে থাকে। ভারতের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের ক্লাস শুরুর সময়ের ওপর নির্ভর করে দুটি শ্লটের বিষয় আসে, তবে বৃত্তির ক্ষেত্রে কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই।
বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য ICCR এর স্কলারশীপ স্কীমগুলো হলো:
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (ICCR) স্কলারশীপ স্কীম
বিভিন্ন ভারতীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশীদের জন্য সুযোগ আছে আন্ডার গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট, এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ লেভেলে।
বাংলাদেশ স্কলারশিপ স্কীম
ICCR এ স্কীমের আওতায় বাংলাদেশী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করে আন্ডার গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট, এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ লেভেলে। এ স্কীম শুধু বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত এবং এর আওতায় সুযোগ পাওয়া অন্যান্য স্কীমের চেয়ে সহজ।
সার্ক চেয়ার/ফেলোশিপ/স্কলারশিপ স্কীম
ICCR সার্ক স্কলারশিপ স্কীম এর অধীনে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটগুলোতে আন্ডার গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্রাজুয়েট লেভেলে বাংলাদেশ থেকে বৃত্তি প্রদান করে।
AYUSH স্কলারশিপ স্কীম
বাংলাদেশসহ বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর জন্য ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে মোট ১৫ টি বৃত্তি প্রদান করা হয় AYUSH বিভাগের পক্ষ থেকে। যার অন্তর্ভুক্ত হলো আয়ুর্বেদিক, ইউনানী ও হোমিওপ্যাথির মতো বিষয়।
এছাড়া  জেনারেল কালচারাল স্কলারশীপ স্কীম, কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, কমনওয়েলথ স্কলারশীপ/ফেলোশিপ প্লান প্রভৃতির আওতায়ও বাংলাদেশী ছাত্ররা আবেদন করতে পারেন।
আবেদনের জন্য যোগাযোগ
আবেদন করতে IELTS এর বাধ্যবাধকতা নেই। তবে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে এবং সাধারনত ১ ঘন্টার একটি ইংলিশ টেস্ট নেয়া হয়। স্নাতকে আবেদনের জন্য এইচএসসিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ফলাফল বিবেচনা করা হয়। অনুরূপভাবে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সের ক্ষেত্রেও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী থাকা প্রয়োজন। বৃত্তির জন্য আবেদন করার পর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাওয়া যায়, এরপর মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করলেই ভিসার পথ পরিস্কার হবে।
আবেদনের সুযোগ দেয়া হয় বিভিন্ন স্কীমে বিভিন্ন সময়ে। যেমন ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ স্কলারশিপ স্কীমে সময়সীমা ছিল ৮ থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত, সার্ক স্কলারশিপ স্কীমে ১২ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহীরা পরবর্তী ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আবেদনের সুযোগ নিতে পারেন।
এ বৃত্তির আবেদনপত্র ও অন্যান্য তথ্যের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনের এডুকেশন উইং-এ যোগাযোগ করতে হবে। হাউজ: ২, রোড নং: ১৪২, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
এছাড়া অ্যাসিসটেন্ট হাইকমিশন অফিস থেকেও ফর্ম সংগ্রহ করা যায়। ঠিকানা: হাউজ: ২১১, কুলসি,চট্টগ্রাম এবং হাউজ: ২৮৪/২, হাউজিং স্টেট, সপুরা উপশহর রাজশাহী।

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা

Print Friendly and PDF

গবেষণা হোক কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস হোক কিংবা আর্টস যে কোনো বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ডিগ্রি বিশ্বমানের। আর তাই উন্নত প্রযুক্তির স্বাদ নিতে

www.naboprottoy.blogspot.com
অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র। তার সাথে রয়েছে স্কলারশিপ ও পার্টটাইম চাকরির সুযোগ, যা আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সুবিধার  পাশাপাশি আগ্রহও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার নিয়মকানুন সম্পর্কে  বিস্তারিত জানাচ্ছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট-ফাতেমা মাহফুজ।
লেখাপড়ার ভাষা ও যোগ্যতা
যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়ার ভাষা ইংরেজি। তবে ভাষার ওপর দক্ষতা ও যোগ্যতা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি তাদের পছন্দ অনুযায়ী টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে থাকে। যেমন: SAT, ACT, GMAT, GRE, IELTS, MAT, TOFEL, TSE ইত্যাদি। যারা অনার্স করতে চান, তাদের অবশ্যই SAT অথবা ACT পরীক্ষা দিতে হবে। বর্তমানে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য GRE  টেস্টের নাম্বারটা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। এসব টেস্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন-
শিক্ষা ব্যবস্থা
এখানকার উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সময়কাল আমাদের দেশের মতোই। ব্যাচেলর কোর্স করতে ৩-৪ বছর আর মাস্টার্স করতে ২ বছর লাগে। তবে পিএইচডি’র সময়সীমা রিসার্চের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। তাছাড়া এখানে নন-ডিগ্রি প্রোগ্রামেরও আয়োজন করা হয়।
পড়ার বিষয়
প্রায় সব বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া যায়। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী সেখানে গবেষণামূলক বিষয় বা ইঞ্জিনিয়ারিং করতে যায়। উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় হলো- ফিজিক্স, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, আর্টস, সোশ্যাল সায়েন্স, আইন, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি। এছাড়া মেডিক্যাল সায়েন্সের নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপরে গবেষণা করা যায়।
খরচ
যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়ার মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি খরচ অনেক বেশি। চার বছরের কোর্স করতে টিউশন ফি ১৫-২০ লাখ টাকা। তাছাড়া মাস্টার্স কোর্স করতে টার্ম প্রতি প্রায় ৩০-৭০ হাজার টাকার মতো লাগবে।

স্কলারশিপ ও পার্টটাইম জব
টাকার খরচ দেখে অনেকে হয়তো ঘাবড়ে যেতে পারেন। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই, কেননা সেখানে আছে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ। আছে ৭৫% পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়ার ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের সর্বশেষ স্কলারশিপের ব্যাপারে জানতে পারেন। বিস্তারিত জানতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসেও যোগাযোগ করতে পারেন। তবে স্কলারশিপের জন্য অবশ্যই বিগত পরীক্ষার ফলাফল ও ভর্তির আগে তারা যেসব পরীক্ষা নেবে তাতে নির্দিষ্ট মার্কস পেতে হবে। এ সংক্রান্ত কিছু লিঙ্ক-
ভর্তি এবং অত:পর
আপনি যদি অনার্স কোর্স করতে যেতে চান, তবে ঝঅঞ অথবা অঈঞ পরীক্ষার পর আপনার পছন্দের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তিফর্ম সংগ্রহসহ যাবতীয় নিয়ম জেনে নিন।  আর আপনি যদি গবেষণার কোনো বিষয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাহলে যার অধীনে আপনি গবেষণা করতে আগ্রহী, তাকে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, থিসিস দিয়ে মোটিভেশান চালান। স্টেটমেন্ট অব মোটিভেশান, সিভি পাঠান। ঘরে বসেই তাদের সাথে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ান। অত:পর সেখান থেকে সাড়া পেলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করুন।
থাকার ব্যবস্থা
ভর্তির পর অবশ্যই ক্লাস শুরুর আগেই সেখানে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব হোস্টেল আছে, তারপরও অনেকেই মাসিক ব্যয়, যাতায়াত খরচ ও যাবতীয় সুবিধা বিবেচনা করে হোটেল, মোটেল, যুব হোস্টেল, আন্তর্জাতিক হাউজিং, এমনকি সেখানকার স্থানীয় ফ্যামিলির সাথেও  থাকেন। আরো বেশি জানতে জানতে নিচের লিঙ্কে  ভিজিট করুন-
সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ
মনে রাখা ভালো, যেহেতু বিদেশে প্রচুর প্রতিযোগিতা, তাই নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে হবে। নিম্নে কিছু বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেয়া হলো। আগ্রহীরা ভিজিট করতে পারেন।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Print Friendly and PDF
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড  খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান বিদ্যাপিঠ। এটি ঢাকা শহরের  প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
নব প্রত্যয় ফাউন্ডেশন
১৯২১ সালে মাত্র ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক ও ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি আবাসিক হল ছিল।

বর্তমানে ১৩টি অনুষদ (ভর্তি কার্যক্রম চলে ১০টি অনুষদের মাধ্যমে), ৬৬টি বিভাগ, ৮টি ইনস্টিটিউট, ১৭টি ডরমেটরি, ৩টি হোস্টেল সহ ৩৭টি গবেষণা সেন্টার রয়েছে (তথ্য সূত্র: একাডেমিক ক্যালেন্ডার ২০০৯-১০)। আর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩৩১১২ জন ও শিক্ষকের সংখ্যা  প্রায় ১৮০৫ জনে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রতি বছর এখানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
দেশের ক্রান্তিকালে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল তৎপর। এখনও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। গত ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি উদযাপন করে প্রতিষ্ঠার ৯০ বছর। শিক্ষাঙ্গণ পরিচিতি বিভাগে আমাদের এবারের আয়োজন দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ নিয়ে।
অবস্থান
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ২৫৮ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালে যার আয়তন ছিল ৬০০ একর বা ২.৪৩ বর্গকিলোমিটার। এর উত্তর দিকে নিউ এলিফ্যান্ট রোড। পশ্চিমে ইডেন কলেজ, দক্ষিণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পূর্বে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ।
ইতিহাস
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান প্রস্তাবক। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া  শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তৎকালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক ইতিহাসবিদ মতে বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন ‘স্পেল্নডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন’।
পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব  সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দ চন্দ্র রায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ এ টি আচির্বল্ড, জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়,  ঢাকা মাদরাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ এইচ আর জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি ডব্লিউ পিক এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশচন্দ্র আচার্য।
১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাস করে ‘দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০’। নাথান কমিশন রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ।
শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। কলকাতার তৎকালীন একটি শিক্ষিত মহল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। এ ছাড়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশ হয়। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ছিলেন স্যার পি জে হার্টস। প্রথম মুসলমান, বাঙালি ও উপমহাদেশের প্রথম ভিসি স্যার এ এফ রহমান। বর্তমানে ২৭তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়।  কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ান, গণিত এবং আইন।
প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭। শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজি বিভাগ, এমএ-১৯২৩)।
যে সব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেনÑ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ সি টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি এইচ ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ এ জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ এফ রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তির পর তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকা  শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সালের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ শহীদ হয়েছেন বহুজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ
কলা, জীববিজ্ঞান, বাণিজ্য, পরিবেশবিজ্ঞান, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, চারুকলা, আইন, চিকিৎসাবিদ্যা, পিজিএমআর, ফার্মেসি, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
কলা অনুষদের বিভাগ সমূহ
বাংলা
ইংরেজি
ফারসি ও উর্দু
দর্শন
ইতিহাস
আরবি
ইসলামিক স্টাডিজ
সংস্কৃত ও পালি
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা
ভাষাবিজ্ঞান
নাট্যকলা ও সঙ্গীত
বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব
বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগসমূহ
পদার্থ বিজ্ঞান
গণিত
রসায়ন
পরিসংখ্যান
আইন অনুষদ
আইন বিভাগ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদদের বিভাগসমূহ
অর্থনীতি
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
সমাজ বিজ্ঞান
লোক প্রশাসন
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
নৃবিজ্ঞান
পপুলেশন সায়েন্সেস
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন
উইমেন্স স্টাডিজ
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বিভাগসমূহ
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস
মার্কেটিং
ফিন্যান্স
ব্যাংকিং
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস
জীববিজ্ঞান অনুষদের বিভাগসমূহ
মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ
উদ্ভিদ বিজ্ঞান
প্রাণিবিদ্যা
প্রাণ রসায়নও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান
মনোবিজ্ঞান
অণুজীব বিজ্ঞান
মৎস্য বিজ্ঞান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি
ফার্মেসি অনুষদের বিভাগসমূহ
ফার্মাসিউটিকাল কেমিস্ট্রি
ক্লিনিকাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি
ঔষধ প্রযুক্তি
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি অনুষদ
ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ
ভূগোল ও পরিবেশ
ভূতত্ত্ব
চারুকলা অনুষদ
ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং
গ্রাফিক ডিজাইন
প্রাচ্যকলা
ভাস্কর্য
কারুশিল্প
মৃৎশিল্প
শিল্পকলার ইতিহাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটসমূহ
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
পরিসংখ্যান গবেষণা ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট
তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র
বায়ো মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার
ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ
ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ
দেভ সেন্টার অব ফিলোসফিক্যাল রিসার্চ
বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ  ইন ন্যাচারাল সায়েন্স
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সায়েন্স
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন হিউম্যানিটিজ
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
সেন্টার ফর ডিজাস্টার রিসার্চ
ট্রেনিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সাইন্স
সেন্টার ফর রিসার্চ ইন আর্কাইভ অ্যান্ড হিস্টরি
নজরুল রিসার্চ সেন্টার
নাজমুল করিম স্টাডিজ সেন্টার
সেমিকন্ডাক্টার টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার
সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ
নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা কেন্দ্র
ডেলটা স্টাডি সেন্টার
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ  ইন ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস
সেন্টার ফর বায়ো-টেকনোলজি রিসার্চ
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ
হিস্টরি রিসার্চ সেন্টার
বায়োটেকনোলজি রির্সাচ সেন্টার
ঢাকা ইউনির্ভাসিটি সাইবার সেন্টার
সেন্টার ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং
জাপান স্টাডিজ সেন্টার
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ ইন আর্টস এন্ড সোস্যাল সায়েন্স (সিএআরএএসএস)
সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল স্টাডিজ
বাংলাদেশ কালচারাল রিসার্চ সেন্টার
ড. সিরাজুল হক ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার
সেন্টার ফর করর্পোরেট গর্ভরনেস অ্যান্ড ফাইনেন্স স্টাডিজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও হোস্টেলসমূহ
জগন্নাথ হল (১০৭২)
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (২১২৫)
শহীদুল্লাহ হল (পুরাতন ঢাকা হল) (১০৯৫)
ফজলুল হক মুসলিম হল (৭৬৬)
জহুরুল হক হল (পুরাতন ইকবাল হল) (৯০৭)
রোকেয়া হল (১৩৭৪)
স্যার পি জে হার্ট হল
সূর্যসেন হল (পুরাতন জিন্নাহ হল) (৫৭৭)
হাজী মো: মহসীন হল (১৪২০)
শামসুননাহার হল (১৩০০)
কবি জসীমউদ্দীন হল (৩৮৭)
স্যার এ এফ রহমান হল (৪৯২)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (৭৪০)
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল (৪৭৪)
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল (৬০৮)
বেগম ফজিলাতুন্নিসা হল (৬৪৯)
অমর একুশে হল (৫৯৬)
আইবিএ হোস্টেল, বেগম ফয়জুন্নেসা হল (১৫০)
ডিগ্রি সমূহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, এমফিল, মাস্টার্স ও অনার্স ডিগ্রি দেওয়া হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ডিপ্লোমা ডিগ্রিও দিয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তিপদ্ধতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীকে এইচএসসি বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। মোট পাঁচটি ইউনিটে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। ভর্তি  পরীক্ষায়  প্রার্থী নির্বাচিত হয় ভর্তি পরীক্ষা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কোটা, উপজাতি কোটা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা এবং অন্ধ কোটায় ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
ডাকসু
বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ডাকসুকে কেন্দ্র করেই। তবে সম্প্রতি এই ঐতিহ্যবাহী ডাকসু ভবনকে ভেঙে ১২ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩ তলাবিশিষ্ট ভবন তৈরি করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আদলে তৈরি করা হচ্ছে বহুতল নতুন ডাকসু ভবন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের স্মরণীয় করে রাখতে একটি স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নতুন ডাকসু ভবনের প্রথম তলা ফাঁকা থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, তৃতীয় তলায় থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়াম অর্থাৎ ডাকসু সংগ্রহশালা। এছাড়া থাকবে ডাকসুর জন্য অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, একাধিক সেমিনার কক্ষ, লাইব্রেরি, ডাকসু নেতাদের জন্য আলাদা কক্ষ।
টিএসসি
ছাত্র-শিক্ষক মিলন কেন্দ্র খ্যাত এই স্থাপনার স্থপতি কনস্টানটাইন ডক্সাইড। এই স্থানটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক ছাড়াও নগরের অনেক মানুষের মিলন কেন্দ্র। সাস্কৃতিক চর্চার এই স্থানটি বহু সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
মধুর রেস্তোরা
মধুসূদন দে-এর স্মৃতি স্মরণে স্থাপিত একটি বিখ্যাত রোস্তোরা যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে অবস্থিত। এটি ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামে অধিক পরিচিত। ‘মধু দা’ ও ‘মধুর কেন্টিন’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য নাম।
অপরাজেয় বাংলা
অপরাজেয় বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। এর স্থাপত্য শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ভাস্কর্যটি তৈরির কাজ ১৯৭৩ সালে শুরু হয়ে ১৯৭৯ সালে শেষ হয়। ৬ ফুট বেদীর উপর নির্মিত এর উচ্চতা ১২ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট।
এছাড়াও উল্লেখ করার মত বেশ কিছু স্থাপত্য শিল্প রয়েছে । বিশেষ করে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, জয় বাংলা, জয় তারুণ্য, রাজু সন্ত্রাস বিরোধী ভাস্কর্য, স্বাধীনতা সংগ্রাম, দোয়েল চত্বর, তিন নেতার মাজার, ক্যাঁকটাস অন্যতম।
একনজরে
মটো : সত্যের জয় সুনিশ্চিত
Truth Shall Prevail
প্রতিষ্ঠা : ১৯২১ সালে
ধরন : পাবলিক, সহশিক্ষা
চ্যান্সেলর : রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান
ভাইস-চ্যাঞ্জেলর : আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
অ্যাকেডেমিক স্টাফ : ১৮০৫
ছাত্রছাত্রী : ৩৩১১২
আয়তন : ২৫৮ একর বর্তমান
প্রতিষ্ঠাকালীন আয়তন : ৬০০ একর
প্রথম মহিলা শিক্ষক : করুণাকণা গুপ্তা (ইতিহাস)
প্রথম ছাত্রী : লীলা নাগ
প্রথম ভিসি : পি.জে, হার্টস
প্রথম মুসলমান ও উপমহাদেশের ভিসি : স্যার, এ. এফ. রহমান (প্রথম বাঙালি)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রথম ভিসি : ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
ওয়েবসাইট : du.ac.bd , univdhaka.edu
লেখক :  শরীফ হুসাইন

 
Design by AbsCreation